অফিস ও চায়ের দোকান থেকে শুরু করে রাজনৈতিক সব আড্ডা আলাপে তাকে নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। প্রসঙ্গত, তিন বার সংসদ সদস্য, বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান, জাতীয় সংসদের হুইপ ও পিরোজপুর এবং মেহেরপুর জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী ছিলেন সৈয়দ শহীদুল হক জামাল। তিনি তার নির্বাচনী এলাকায় বহু স্কুল, কলেজ, মাদরাসা, রাস্তা-ঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট, মসজিদ ও মন্দির নির্মাণসহ ব্যাপক উন্নয়ন করেন।
এলাকাবাসী জানায়, ঘরে ঘরে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিয়ে অনগ্রসর এলাকাবাসীকে অগ্রসর করতে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার বহু আগে বাবার নামে বাইশারী সৈয়দ বজলুল হক কলেজ ও ধারালিয়া সৈয়দ বজলুল হক মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা, ধর্মীয় ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন।
তিনি সহ্রসাধিক বেকার যুবক-যুবতীদের চাকরি দিয়ে সেই সব পরিবারে দারিদ্রতা দূর করে স্বচ্ছল্লতা এনে দেন। অতিথিপরায়ন ও গরীবের বন্ধু হিসেবে কালক্রমে তিনি সবার "ভাইজান' হয়েছিলেন। দলমত নির্বিশেষে তিনি আপামর জনতার অতি প্রিয় ছিলেন।
এলাকাবাসী আরো জানায়, তিনি ২০২০ সালের ১৮ মার্চ প্রয়াত হলেও এখনও নির্বাচনী এলাকায় তার নিজস্ব বিশাল ভোট ব্যাংক রয়েছে। এদিকে মানবিক ও উন্নয়নকামী পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে ব্যারিষ্টার সাইফও এলাকায় মসজিদ ও মাদরাসাসহ সেবামূলক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে ভূমিকা রাখছেন।
দরিদ্র রোগীদের চিকিৎসা সেবায় সহায়তা করে মানবিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করছেন। ব্যারিষ্টার সাইফ নির্বাচনে প্রার্থী হলে বরিশাল-২ আসনের পুরনো সব হিসাব-নিকাষ পাল্টে নতুন রাজনৈতিক মেরুকরণ সৃষ্টি হবে। তিনি প্রার্থী হলে পাদপ্রদীপের আলোয় এসে শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে আর্বিভূত হবেন বলে মনে করছেন এলাকাবাসী।
তাদের মতে আসছে নির্বাচনে জামাল পুত্র সাইফকে বিএনপি থেকে মনোনয়ন দেওয়া হলে বরিশাল-২ আসনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে আসনটি পুনরুদ্ধার করা সহজতর হবে।
বানারীপাড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মীর সহিদুল ইসলাম বলেন, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনশ' আসনে ক্লীন ইমেজের প্রার্থী দিবে বিএনপি। সেক্ষেত্রে ক্লীন ইমেজের প্রার্থী হিসেবে উজিরপুর-বানারীপাড়ায় ব্যারিস্টার সাইফুল হক সাইফের বিকল্প নাই। উচ্চ শিক্ষিত ও তরুন সমাজসেবক হিসেবে দুই উপজেলাতেই তার রয়েছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা। নিজ উপজেলা বানারীপাড়ায় যেমন তার বিপুল সংখ্যক কর্মী-সমর্থক রয়েছে; তেমনি সাইফের নানা বাড়ি উজিরপুরেও ব্যাপক জনপ্রিয় তরুন এ উদীয়মান নেতা।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি চেয়ার পার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা মন্ডলীর সাবেক সদস্য গণমানুষের নেতা সৈয়দ শহীদুল হক জামাল এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছিলেন। যে কারনে আপামর জনতা এখনো একজন জামালকে খুঁজে বেড়ায়। তাই এলাকাবাসী ও কর্মী সমর্থকদের দাবী তার উত্তরাধিকার হিসেবে ব্যারিস্টার সাইফ নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে অংশগ্রহন করলে পাল্টে যাবে রাজনৈতিক দৃশ্যপট।
বানারীপাড়া পৌর বিএনপি’র সাবেক সভাপতি ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের যুগ্ন আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ খলিলুর রহমান চোকদার জানান, ব্যারিস্টার সাইফের বাবার যে সুনাম এবং তিনি এলাকায় যেসব উন্নয়ন কর্মকান্ডে অবদান রাখছেন তাতে দল যদি তাকে মনোনয়ন দেয় তবে অনেকের চেয়ে তিনি ভাল করবেন।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনের মেধাবী আইনজীবী ও তরুণ সমাজসেবক ব্যারিস্টার সৈয়দ সাইফুল হক সাইফ বলেন, আমার বাবা বিএনপি’র রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থেকে আমৃত্যু দেশ ও গণমানুষের সেবা করে গেছেন। বাবার মৃত্যুর ৫ বছর অতিবাহিত হলেও এলাকার মানুষ তাকে এখনো ভুলে যায়নি।
তাঁর কথা স্মরণ করে তারা অশ্রুসজল হন। বাবার মত এলাকার উন্নয়ন ও দলমত নির্বিশেষে সাধারণ মানুষের সেবা করে যাচ্ছি। বাবার প্রতি শ্রদ্ধা ভালোবাসা থেকে এলাকার আপামর জনগণ চাচ্ছেন অন্তত বাবার স্মৃতি রক্ষায় ত্রয়োদশ নির্বাচনে আমি যেন প্রার্থী হই।